অপার স্রষ্টা নির্মিত এ গ্রহে মানুষ ব্যতিত প্রাণি কম নেই। কিন্তু আমরা চিনি হাতে গোনা কিছু প্রাণি। অনেকে বাসায় অ্যাকুইরিয়ামে মাছ, বারান্দা বা ছাদের খাঁচায় পাখি রাখেন। কেউ পুষে থাকেন বিড়াল, কুকুর। কারও বাসায় দেখা মেলে খরগোশের।
উপরে বর্ণিত সব প্রাণিই মানুষের পোষ্য। এরা ঘরে মানুষের পাশাপাশি বাস করতে পারে। একটি শিশুর জন্য এর সবই ইতিবাচক। ঘরের অভিভাবকদের উচিত এই পোষ্যদের দেখা শোনার দায়িত্ব বাড়ির ছোট্ট শিশুর ওপর অর্পণ। এতে শিশু দায়িত্ব নিতে শিখবে। নিজেকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ভাবতে শিখবে। এর চেয়ে বড় কথা অধিকাংশ শিশু এখন যে গ্যাজেটে বন্দি সময় কাটায় এর থেকে ভিন্ন একটি মাত্রা থাকবে তার জীবনে। প্রাণির প্রতি মমত্ব বোধ শিশুকে মানবিক গুণেও অনেক সমৃদ্ধ করবে।

তবে প্রাণি জগতে দেখার আছে অনেক কিছু। সীমা নেই এ আর্বিস্কারে। শিশুকে তাই চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বেড়াতে নিয়ে গেলে তা হবে তার জন্য অনবদ্য শিক্ষনীয়।
ঢাকার অদূরে গাজিপুরে আছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। শহরের মিরপুরে আছে ঢাকা চিড়িয়াখানা। এ সব জায়গায় শিশুকে নিয়ে বেড়াতে গেলে তা হয়ে থাকবে অমূল্য স্মৃতি। শিশু শুধু মাত্র ছবিতে যে সব প্রাণির ছবি দেখেছে বাস্তবে তার দেখা পাবে এসব জায়গায় এলে। ডিসকভারি বা এনিমেল প্ল্যানেটের মতো টিভি চ্যানেলের বাইরে বাস্তব চিত্র উন্মোচিত হবে তার মানস পটে।

এসব চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে প্রাণির বিবিধ বিষয়ক তথ্য লেখা আছে। শিশুকে তা থেকে পড়ে শোনানো যেতে পারে। অবশ্যই শিশুর ভাষায় তা ব্যাখ্যা করতে হবে। তাহলে ছোট্ট মণি বুঝতে পারবে প্রাণি জগতের বিপুলত্ব সম্পর্কে। জীবে জীবে মিলেই প্রাণ। মহা পৃথিবীর একটি মাত্র প্রাণি আমরা মানুষ। স্বীয় সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে এই মানুষ অন্য প্রাণিদের ওপর কর্তৃক অর্জন করেছে। এ বিষয়টি চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কে না বেড়াতে এলে শিশুর অজানা থেকে যাবে।

সব প্রাণির ওপর কর্তৃত্ব পেয়ে মানুষ প্রজাতির দায়িত্ব যায় অনেক বেড়ে। এ গ্রহকে সুরক্ষার দায়িত্ব বর্তায় মানুষের ওপর। এই প্রাণিদের ছাড়া যে মানুষের জীবনও হুমকি পড়বে, বাস্তুসংস্থানের এই ধাপগুলো একটি শিশুকে একবারে না হোক ধীরে ধীরে শেখাতে হবে। তাই সাফারি পার্ক বা চিড়িয়াখানা ভ্রমণ শিশুকে ঋদ্ধ করবে বহু মাত্রায়।